সত্যি ভালোবাসা চেনার চার টি সহজ উপায়।

 

✓আজ কাল এটা বোঝা খুব কটিন হয়ে গেছে, কি কে সত্যি আর কে মিথ্যা বলছে। কারণ মানুষ এতটাই সাজিয়ে কথা বলে কি, বোঝাই যায় না কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা কথা।

✓দিনের পর দিন মানুষ কে চেনা খুব কটিন হয়ে যারছে । প্রতিশ্রুতি দেওয়া, কথা দেওয়া ভালোবাসার বড় বড় কথা বলা এ সব যেনো আজকাল কমোন হয়ে গেছে। মানুষ তো ভালোবাসার বড় বড় কথা বলে, খুব ভালোবাসি বলে কিন্তু দেখে সে রকম কিছুই মনে হয় না। শুরু শুরু মানুষ এমন ভাবে কথা বলে, ভালোবাসা প্রকাশ করে, মনে হয় হা সত্যি ভালোবাসে কিন্তু কিছু দিন পর এমন ভাবে আলাদা হয়ে যায় কি যেনো কখনো কিছুই ছিলো না। বোঝাই যায় না সামনের জনের মনে কি। সে সত্যি ভালোবাসে কি না। তার মনে আমার জন্য ফিলিংস কি। কিছুই বোঝা যায় না। 

✓এই জন্যই আজ এমন চারটি বিষয়ে আলোচনা করবো,  যেটাতে তোমরা সহজেই বুঝতে পারবে।  কে  তোমাদের সত্যি ভালোবাসে আর কে মিথ্যা ।

✓সব থেকে প্রথম কথা হলো, যে তোমাকে সত্যিই ভালোবাসবে সে তোমাকে ছেড়ে কখনোই যাবে না। যতই কঠিন সময় আসুক না কেন তবুও ছেড়ে যাওয়ার কথা কখনোই মুখে আনবে না। যেমন বেচেঁ থাকার জন্য হাওয়ার প্রয়জন হয় তেমনি তুমি তার কাছে হয়ে উঠবে। তোমার থেকে আলাদা হয়ার কথা কখনোই ভাববে না, কখনোই মুখে আনবে না। আর যে একবার এই কথা মুখে আনবে বা আপনাকে ছেড়ে থাকতে চাইবে তো ভেবে নিও এটা সত্যি ভালোবাসা না। যদি ভালোবাসা সত্যি হয়, তো যে কোনো সমস্যা, বাধা সেটাকে ভাঙতে পারে না। আর যদি কোনো সমস্যার, বাধার জন্য ভালোবাসা ভেঙে যায় তো সেই ভালোবাসা কখনোই সত্যি হতে পারে না। তো তোমার সম্পর্কে অবশ্যই এটা চেক করবে সে কি তোমাকে ছাড়ার কথা মুখে আনে। যদি আনে তো বুঝে নিও সে তোমাকে সত্যি ভালোবাসে না।

✓আর দ্বিতীয় কথা, যে তোমাকে সত্যিই ভালোবাসবে সে তোমার সঙ্গে কখনোই প্রতারণা করবে না। কখনোই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবে না। তার জীবনের সব কথা তোমাকে জানাবে। অনেক শুনতে পাওয়া যায় কি সে আমাকে তার সম্পর্কে কিছুই জানায় নি পড়ে অন্যের কাছে শুনতে পাই। সে নিজের কথা লুকিয়ে রেখে ছিল, আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। মনের মধ্যে ছিল কিছু আর মুখে অন্য কিছু।

~আচ্ছা আমি বুঝতে পারি না নিজের একটু খুশির জন্য অন্যকে মিথ্যা আসা দিয়ে, ভালোবাসার নাটক করে কি পায়। নিজের একটু স্বার্থের জন্য অন্যের জীবন খারাপ কেনো করে দেয়। যদি তোমার মনে কারো জন্য ভালোবাসা নেই টা হলে তাকে বলে দাও তাকে স্বাধীন করে দাও। তাকে এমন কোনো আসা দেখিও না কি তার জীবনটাই নষ্ট হয় যায়। আর আমি এটাই দেখেছি যে অন্যের জীবন নিয়ে খেলা করে, তারা কখনোই খুশিতে থাকতে পারে না। 

~এই জন্য যে তোমাকে সত্যি ভালবাসবে সে তোমাকে কখনো ধোঁকা দেবে না তার সম্পর্কে সবকিছু তোমাকে জানাবে । তোমাকে সব বলবে তার জীবনে সব কথা ঘটনা।

~যদি তুমি যাকে ভালোবাসো সে এই রকম না করে, তার সম্পর্কে তোমাকে না জানায় তো বুঝে নিও এটা সত্যি ভালোবাসা নয়।

✓আর তৃতীয় কথা হচ্ছে যে তোমাকে সত্যি ভালবাসবে সে তোমার কখনই ডিস রেস্পেক্ট করবে না । সর্বদা সম্মান করবে। তোমার কখনোই অসম্মান করবে না। ভালোবাসা মানেই হলো সন্মান করা। যেখানে সন্মান নেই সেখানে ভালোবাসা কখনোই হতে পারে না। আর যখন কারো জন্য মন থেকে ভালোবাসা উৎপনন হয়, তখন তার জন্য সন্মান অটোমেটিক বেড়ে যায়। তার প্রতিটি ভাবনা, প্রতিটি কথা, ভালোবাসার মানুষটির জন্য অনেক মাইনে রাখে। কিন্তু যখন কেউ তোমার ভাবনার সন্মান করে না, তোমার ভালোবাসার সন্মান করে না, তোমার সন্মান করে না, এর মানে সে তোমাকে সত্যি ভালোবাসে না। তোমাকে এটা অবশ্যই চেক করা দরকার কি সেই সম্পর্কে তুমি সন্মান পারছো কি না। আর যেখানে সন্মান নেই সেখানে ভালোবাসা কি ভাবে হয়। 

✓আর চতুর্থ কথা হলো, হোস্টিং করা, এর মানে আচানক গায়েপ হয়ে যাওয়া। মেসেজ এর রিপ্লাই না দেওয়া, তুমি জানতেই পাবে না সে কই আছে কি করছে। তুমি বসে বসে ঘনটার পর ঘনটা অপেক্ষা করছো তার সঙ্গে কথা বলার জন্য অস্থির হরছ আর তার কোনো হুস এ নেই। সে ফ্রী থাকা সত্বেও না মেসেজ এর রিপ্লাই না কল এর রিপ্লাই দিরছে। 

~আর এ আমি বুঝতেই পারি না যদি কারো সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা না করে তোমার তাহলে তাকে সরাসরি বলে দাও না। কেনো তাকে ঝুলিয়ে রাকো। আজ কাল এই বিয়স টা খুব দেখা দেয় সম্পর্কের মধ্যে, কি একজন কথা বলার জন্য অস্থির আর একজনের কোনো ফারাক ই পরে না। অনেকেই বলে আমি এত কল করি মেসেজ করি কিন্তু কোনো রিপ্লাই পাই না। আর যদিও রিপ্লাই দেয় তো এমন রিপ্লাই দেয় কি মনে হয় তার কথা বলার কোনো ইচ্ছায় নেই।

~যদি কেউ তোমাকে সত্যি ভালোবাসে তো সে তোমার সঙ্গে কখনোই এমন করবে না। সে তোমার সঙ্গেই থাকতে চাইবে , তোমাকেই চাইবে তার ফ্রী সময়ে ।

~যদি তুমিও তোমার ভালোবাসা কে নিয়ে কনফিউজ তো এই চারটি কথা অবশ্যই চেক করে নেবে। যদি তোমার সম্পর্কে এই সব হরছে তো বুঝে নিও তুমি একটা মিথ্যা সম্পর্কে আছো, আর যত তাড়াতাড়ি পাও সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসো।